হঠাৎ করেই সমগ্র দেশ জুড়ে ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী মো. সেলিম এবং তার ছেলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ ইরফান সেলিমকে নিয়ে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা।
নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট মো. ওয়াসিফ আহমেদকে মা/র/ধ/র করে এই আলোচনায় উঠে এসেছেন মোহাম্মদ ইরফান সেলিম। এবং তাকে গ্রে/ফ/তার করা হয়েছে। এছাড়াও তাকে গ্রেফতারের পরে একে একে প্রকাশ পাচ্ছে তার সকল অ’পরা’ধ কর্মকান্ড গুলো।
ঢাকা-৭ আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিমের মেজো ছেলে ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের সরকার সমর্থিত কাউন্সিলর মোহাম্মদ ইরফান সেলিম রাজসিক জীবনযাপন করেও উগ্র
আচরণে অভ্যস্ত ছিলেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। সোমবার তিনি র্যা/বে/র অভিযানে আ/ট/ক হওয়ার পর তারা মুখ খুলতে শুরু করেছেন।
চকবাজারের দেবীদাস ঘাট লেনের কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, ছোটবেলা থেকেই ইরফান সেলিম ব/দ/মেজাজি ও উ/গ্র আচরণ করতেন। কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়ার পর তা বহুগুণে বৃদ্ধি পায়। তার বডিগার্ডরাও মানুষের সঙ্গে দু/র্ব্য/বহার করতেন বলে জানান তারা।
এছাড়া চকবাজারের মদিনা আসিক টাওয়ারে রাতভর রঙ্গলীলায় মত্ত থাকতেন কাউন্সিলর ইরফান। প্রায় প্রতিদিনই ওইসব আসরে ম/দ-না/রী নিয়ে ফু/র্তি করতেন তিনি। ওই সময় আ/ত/শ/বাজির শব্দে রাতে আশপাশের লোকজন ঘুমাতে পারতেন না বলে অভিযোগ করেছেন অনেকে। থানা পু/লি/শে/র নাকের ডগায় সব ঘটলেও নীরব থাকতে বাধ্য থাকতেন সবাই।
জানা গেছে, একদিকে এমপিপুত্র ও অন্যদিকে নোয়াখালী-৪ আসনের সাংসদ একরামুল করীম চৌধুরীর জামাতা এবং নিজে কাউন্সিলর ছিলেন ইরফান।
ঢাকায় তাদের পরিবারের অন্তত ১৫০টির মতো সুউচ্চ ভবন রয়েছে। শুধু পুরান ঢাকায় ৩০টি ভবন রয়েছে সেলিম পরিবারের। ওইসব ভবন মার্কেট ও বাড়ি হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এছাড়া সিমেন্ট, জাহাজ, ফ্রুটস ও ট্রেডিং ব্যবসা রয়েছে ওই পরিবারের।
তিন ভাইয়ের মধ্যে মোহাম্মদ ইরফান সেলিম দ্বিতীয়। তাছাড়া বড় ভাই সোলায়মান সেলিম পিতার ব্যবসা দেখাশোনার পাশাপাশি পুরান ঢাকার আহমেদ বাওয়ানী স্কুল অ্যান্ড কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এবং ছোট ভাই আশিক সেলিম অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী বলে জানা গেছে।
চকবাজারের ভ্যানচালক হোসেন মিয়া বলেন, দেবীদাস লেনের ওই বাড়ি থেকে পরিবারের সদস্যরা বের হওয়ার সময় রাস্তার দুই মাথা বন্ধ করে দিতেন কাউন্সিলরের বডিগার্ডরা। মাঝে কোনো ভ্যান রিকশা পড়লে চাকা কেটে দেয়া ও গা/লি/গা/লা/জ করা ছিল নৈমিত্তিক ব্যাপার। এ নিয়ে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পেত না বলে জানান তারা।
র্যা/ব জানায়, এমপিপুত্র ইরফান সেলিম এলাকার চাঁ/দা/বাজির স/ম্রা/জ্য নিয়ন্ত্রণ করতে। এজন্য ওয়াকিটকি ও হ্যান্ডকাপ ব্যবহার করা হতো। এগুলো ব্যবহার করে মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে আ/ট/ক করে তার ট/র্চা/র সে/লে নিয়ে এসে চাঁ/দা
আদায় করত। এজন্য দেবীদাস ঘাট লেনে একটি ফ্ল্যাটে ট/র্চা/র সেল গড়ে তোলা হয়েছে। ওই সে/লে মানুষকে ট/র্চা/রে/র বিভিন্ন য/ন্ত্র ও আ/লা/ম/ত জব্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন র্যা বের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং শাখার কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট জেনারেল আশেক বিল্লাহ।
এছাড়া সোমবার রাত ৮টার দিকে চকবাজারের মদিনা আশিক টাওয়ারের ১৬ তলায় অভি/যান চালায় র্যা/ব। ওই সময় একটি বড় রুমে আরেও একটি ট/র্চা/র সে/লে/র সন্ধান পাওয়া গেছে। ওই সেল থেকে ওয়্যারলেসের কন্টোল
ট্রান্সজেস্টার, বাইনাকুলার, হি/ট দেয়ার ট্রা/ন্স/মিটার, ১টি ছো/রা, একটি হ/ক/স্টি/ক, বাঁ/ধা/র রশি, চোখ বাঁ/ধা/র গা/ম/ছা, ই/য়া/বা খাওয়ার ফ/য়ে/ল, ওয়াকিটকি, স্কু-ড্রাইভারের একটি বক্স, স্যাভলন ও ভিডিও রেকর্ডার উদ্ধার করা হয়।
নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট মো. ওয়াসিফ আহমেদ মারধরের ঘটনার পরপরই একটি মামলা দায়ের করেন তিনি। এই দায়ের
করা মামলার ভিত্তিতে হাজি সেলিমের পুত্রের বাসায় আভিযান চালায় প্র/শা/সন। আর সেই অভিযানেই প্রকাশ্যে উঠে এসছে নানা ধরনের সব তথ্য। এ দিকে ইরফান এবং তার বডি গার্ডকে দেয়া হয়েছে এক বছরের জেল। এবং বর্তমানে তারা কারাগারে আছে।